মাওলানা, আপনার দৃষ্টিতে মীলাদ শরীফ পড়া কি জায়েজ এবং সম্মানার্থে মিলাদের মধ্যে দাঁড়ানোটাও কি জায়েজ?
মাওলানা বলেন, মীলাদ শরীফ বলতে যা বুঝায়, প্রকৃতপক্ষে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাসূল (সা)-কে স্মরণ করা এবং তাঁর জীবনী আলোচনা করা, এটা শুধু জায়েজই নয়, বরং এর মাধ্যমে যে ছওয়াব হবে তাতেও কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। অবশ্য এর ভিতর ভ্রান্ত অন্য কিছু বর্ণনা করা ঠিক নয়। যদি মীলাদ শরীফের ব্যাপারে আপত্তি হয়ে থাকে, তা এই ক্ষেত্রেই হতে পারে সম্মানার্থে দাঁড়ানো ফরজ না ওয়াজিব, এর জন্য লোকদেরকে বাধ্য করার কোন কারণ নেই।
পক্ষান্তরে যদি কেউ দাঁড়ায় তাকে তিরস্কার করারও কোন দরকার নেই। একাজটা হারামও নয় যে, এর কর্তাকে ধরে মারপিট করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি ভক্তি করে দাঁড়ায় তাতেও কোন দোষ নেই। কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক এবং জরুরী না হওয়ার ব্যাপারে প্রতিদিন পাঁচবার নামাযে আমরা প্রমাণ দিয়ে থাকি। তাশাহ্হুদের সময় السَّلَامُ عَلَيْكَ أيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ কথাগুলো বলুন তো কোন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পড়ে? সকলেই তো বসে বসেই পড়ে থাকে। আর এই তাশাহ্হুদ স্বয়ং রাসূল (সা)-এর শিখানো পদ্ধতি, তাই যাঁরা দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন, তাঁদেরকেও নিজেদের বাড়াবাড়ি থেকে বিরত হওয়া উচিত। কেননা শরীয়াতে এর বাধ্যবাধকতার কোন প্রমাণ নেই।
তথ্যসূত্রঃ ছাত্র ও যুব সমাজের মুখোমুখি মাওলানা মওদূদী (র)/ ২৪৯
