মাওলানা, চারিত্রিক পুনরুজ্জীবনের জন্য আপনি কি পরামর্শ দেন?




এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এক্ষেত্রে আমার প্রথম পরামর্শ হচ্ছে। আপনারা সাংগঠনিক জীবনকে আরো সুদৃঢ় করুন। সবসময় এমনটিই হয়ে আসছে যে, সামষ্টিক সমস্যার মোকাবিলা সামষ্টিকভাবেই করা হয়। সামষ্টিক সমস্যার সমাধান ব্যক্তিগতভাবে সম্ভব নয়। একটি খড়-কুটো বন্যা প্রতিরোধতো করতেই পারে না বরং বানের শ্রোতে ভেসে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার শক্তিটুকুও তার নেই। এ কারণেই সবার আগে সমমনাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয় করে ধ্বংসাত্মক শক্তি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে দাঁড় করাতে হবে। ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যক্তি পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। একে অপরের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে এবং পরস্পরকে সংশোধনের জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালাবে। এটা হচ্ছে সর্বপ্রথম প্রয়োজন।


দ্বিতীয়ত, সকলকে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে যে, সামষ্টিক স্বার্থ দ্বারা আপনারা কি পরিমাণ প্রভাবিত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজেকে Underestimate-করবেন না, Overestimate-ও করবেন না। বরং দুষিত সামাজিক পরিবেশ আপনাকে কতটুকু প্রভাবিত করছে, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করুন। অতপর নিজেদের ভেতর থেকে দুষিত অংশটুকু বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। যদি আপনাদের সংগঠনে সহানুভূতি সহকারে পরস্পরের খোঁজ খবর নেয়ার (ছিদ্রান্বেষণ নয়) উদ্যোগ থাকে, তা হলে. আপনারা নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দেবেন। আর এভাবেই প্রত্যেকেই একে অপরের সংশোধন করতে পারবেন।

তৃতীয় জরুরী বিষয়টি হচ্ছে, আপনাদের মধ্যে দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি বর্তমান থাকা প্রয়োজন। আমার মতে দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি হলো, আপনারা সংকোচ ও দুর্বলতা মুক্ত থাকবেন। আপনার সাথে সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিদের উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন। এভাবে এক এক করে যদি এদিকে আকৃষ্ট হতে থাকে, তাহলেই আপনাদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালিত হবে।