মাওলানা বলেন, ছাত্ররা যতক্ষণ নিজেদের অধিকাংশ সময় শিক্ষা অর্জনে ব্যয় না করবে, ততক্ষণ কোন বিষয়ে তাদের ব্যাপক যোগ্যতা ও গভীর পারদর্শিতা অর্জিত হতে পারে না। রাজনীতি সরাসরী আপনাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যারা শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে অবতীর্ণ হয়েছেন, প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় জরুরী বিষয়ের ব্যাপারে আপনারা ওয়াকিফহাল থাকবেন। রাজনীতির সাথে আপনাদের সম্পর্ক শুধু এতটুকুই থাকতে পারে, এর বেশী নয়।
রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের পরিবর্তে আপনারা শুধু রাজনীতির তাত্ত্বিক চর্চা করুন, যাতে করে আপনাদের জ্ঞান ভাসাভাসা এবং দৃষ্টিভঙ্গী ভারসাম্যহীন না হয় এবং আপনারা কোন বিষয়ে সুদৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, রাজনীতি আপনাদের জন্য নিষিদ্ধ বৃক্ষ। একটি দেশের যুবসমাজ নিজের দেশের ঘটনা প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। কখনো এমন সময় আসতে পারে যখন আপনাদেরকেও সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এমন অবস্থা প্রতিদিন আসে না। যদি কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে নিজেদের দায়িত্ব পালন শেষে পূর্ণ ঈমানদারীর সাথে পুনরায় শিক্ষা সমাপনের কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। রাজনীতির প্রতি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন না।